কক্সবাজার প্রতিনিধি :: আজ (শনিবার) ঢাকা থেকে সমুদ্রনগরী কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে প্রথম যাত্রা করবে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। কমলাপুর স্টেশন থেকে ৭৮০ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার এক্সপ্রেস যাত্রাপথে ট্রেনটি শুধুমাত্র বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম স্টেশনে থামবে। এর মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্রথম ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন। আর গত বৃহস্পতিবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় অনলাইন ও কাউন্টারে। যা মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। চট্টগ্রামে এসে পৌঁছাবে রাত ৩টা ৪০ মিনিটে। ২০ মিনিট যাত্রা বিরতি দিয়ে রাত ৪টায় কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। কক্সবাজারে পৌঁছাবে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে। অর্থাৎ রাজধানী থেকে পর্যটন শহরে যেতে সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা ১০ মিনিট। আর কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ট্রেন ছাড়বে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে। এই ট্রেন চট্টগ্রামে আসবে বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে। আর ঢাকায় পৌঁছবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে।
এদিকে প্রথম দিনের ট্রেন চলাচল কমলাপুর থেকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ কামরুল আহসান। আর সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন থেৃকে উদ্বোধন করবেন রেল সচিব হুমায়ুন কবীর।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, স্নিগ্ধা (এসি সিট) শ্রেণিতে ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ভাড়া ২ হাজার ৩৮০ টাকা। অন্যদিকে যেসব যাত্রী চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যাবেন তাদের শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ৪৬৬ এবং এসি বার্থের ৬৯৬ টাকা।
এর আগে ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চলের) এসিওপিএস মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে ট্রেন চলবে। ট্রেনটির নাম্বার ৮১৩/৮১৪। সিট সংখ্যা ৭৮০। ১৬/৩২ লোডের কক্সবাজার এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে সোমবার ও কক্সবাজার থেকে মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন থাকলেও দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন ছিল না। ২০১০ অনুমোদন পায় এই রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প। ২০১১ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালে প্রকল্পটি সংশোধন করার পর গত ১১ নভেম্বর এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের খরচ ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর রেল লাইনের দৈর্ঘ্য দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার।
পাঠকের মতামত: